• অপরাধ ও দুর্নীতি

তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী-কন্যাকে পিটিয়ে হত্যা! 

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:১৬:১৩

ছবিঃ সিএনআই

দিনাজপুর প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী এবং শিশু কন্যা সন্তানকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ঘাতককে আটক করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। এছাড়াও তার আরেক সন্তান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ উপজেলার হেয়াতপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে হত্যার দ্বায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে তার। সন্তান বেঁচে আছে জানার পর ঘাবড়ে গিয়ে হুড়হুড় করে সব দ্বায় স্বীকার করে নিয়েছে সে।

এব্যাপারে আজ রবিবার দুপুরের নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গন মাধ্যমকর্মীদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।

জানা গেছে, ঘটনার খবর জানতে পেরে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  সিফাত-ই-রাব্বান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, বিরামপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলামের তত্বাবধানে, নবাবগঞ্জ থানার ইনচার্জ তাওহীদুল ইসলাম, ইন্সটেক্টর ( তদন্ত) মমিনুজ্জামান উপ পরিদর্শক মোস্তানছির বিল্লাহ্ উপ পরিদর্শক সোহেল রানা, উপ পরিদর্শক মহুবার রহমান সহকারি উপ পরিদর্শক সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেন। এক পর্য্যায়ে হত্যাকারি হিসেবে গৃহকর্তা শহিদুল ইসলামকে সন্দেহের তালিকায় রেখে জেরা করে স্বীকারোক্তি আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার জানান, অন্যান্য  দিনের মত গত শনিবার কাঠ কাটার কাজ করতে সকালে বাড়ী থেকে বেরিয়ে বিকালে ঘরে ফিরেন (কাঠুরিয়া) গৃহকর্তা শহিদুল ইসলাম। সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিতে তার ১৩ বছরের ছেলে আল আমিন এবং ৬ বছরের মেয়ে আফরিন জান্নাত কান্নাকাটি করছিল। এসময় দুই সন্তানকে নিয়ে বিরক্তির মধ্যে কিছু কটু শব্দ ছুড়ে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম। স্ত্রীর মুখে ভাষা শুনে উত্তেজিত হয়ে বাঁশের খাটিয়া (গোড়ার মোটা অংশ) দিয়ে স্ত্রীর মাথা থেতলে দেয় ক্ষিপ্ত তার স্বামী শহিদুল ইসলাম।  মায়ের আর্তনাদে মাকে জড়িয়ে ধরে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছিল নাবালক দুই শিশু সন্তান। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে দুই সন্তানকেও একই খাটিয়া দিয়ে মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত হানেন পিতা শহিদুল ইসলাম। রক্তক্ষরন চলার মধ্যে মরনাপন্ন অবস্হায় স্ত্রী সন্তানদের ফেলে রেখে বাই সাইকেল নিয়ে স্হানীয় দাউদপুর বাজারে যায় শহিদুল ইসলাম।  নিজের অপরাধ আড়ালে ঘটনা ভিন্নক্ষাতে প্রবাহিতের মতলবে ঘন্টা খানেকের মধ্যে বাড়ীতে ফিরে স্ত্রী সন্তানদের কে বা কারা রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে গেছে বলে চিৎকার করতে থাকে সে। এসময় স্হানীয় একজন ভ্যান চালকের সহায়তায় দুই সন্তানকে উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুত্বর অবস্হায় দুই সন্তানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন স্বাস্হ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক। একই সময়ে গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুল আজিজের কাছে স্ত্রীকে নিয়ে যায় সে। তার আগেই মৃত্যু বরন করেছিল তার স্ত্রী। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্হলে ছুটে যায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। তার দুই সন্তান রংপুর মেডিকেল জীবিত রয়েছে বলে জানানো হয় তাকে। সত্য বেরিয়ে আসার ভয়ে ঘাবড়ে গিয়ে কারনসহ নিজে স্ত্রীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে ঘাতক স্বামী শহিদুল ইসলাম ।

পুলিশ সুপার আরো জানান, আহত দুই শিশু সন্তানের মধ্যে কন্য আফরিন জান্নাতকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসক। আজ রবিবার সকালে তার মেয়ে রংপুর মেডিকেলে মারা গেছে এই খবর জানতে দেওয়া হয়নি শহিদুলকে। তার অন্য সন্তান আল আমিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্ত্রী সন্তানের উপর চালানো বর্বরোচিত নির্যাতনের দেওয়া স্বীকারোক্তি

 ভিডিও ধারন করেছেন তারা। পাশাপাশি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী রেকর্ডের জন্য  আজ (রবিবার) বিকালে তাকে আমলি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

স্বামীর পিটুনিতে নিহত স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০) নবাবগঞ্জ উপজেলার আজমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে। মেয়েকে

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo