• অপরাধ ও দুর্নীতি

ফরিদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০৭ মে, ২০২৪ ২১:২২:৪৩

ছবিঃ সিএনআই

ফরিদপুর  প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল সোমবার (৬ই মে) রাতে মামলা হলে পুলিশ চার আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানা ও স্থানীয়রা জানায়,ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে প্রতিবেশী জুনায়েত শেখের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। 

সম্পর্কের এক পর্যায়ে জুনায়েত শেখ বিয়ের প্রলোভনে ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত বছরের ২০ নভেম্বর কিশোরীর বাবা-মা বাড়ি না থাকায় ওইদিন রাতে কিশোরীকে ডেকে নিয়ে পরমেশ্বরদী গ্রামের মনমত মন্ডলের মেহেগনী বাগানে প্রেমিক জুনায়েত শেখ (১৬), তার বন্ধু জুবায়ের ফকির (১৫) ও তরিকুল ফকির (১৬) ধর্ষণ করে। 

কিন্তু কিছু দিন ধরে ওই কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। পরে গত ২৯ এপ্রিল কিশোরী তার মাকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। এরপর কিশোরীর বাবা গ্রামের মাতুব্বর হারুন শেখের কাছে বিচার চান। হারুন শেখ বিচারের ব্যবস্থা না করে উল্টো মারধর করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করে। 

পরে বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি বোয়ালমারী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানতে পেরে গত রবিবার ( ৫ই মে) রাতে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের তিনজনকে আটক করে। পরে গতকাল সোমবার ( ৬ ই মে) রাতে ওই কিশোরী বাবা পরমেশ্বরদী গ্রামের জুনায়েত শেখ, জুবায়ের ফকির, আলফাডাঙ্গা উপজেলার ভেন্নাতলা গ্রামের তৈয়েবের ছেলে তরিকুল ফকির ও পরমেশ্বদী গ্রামের সেকেন শেখের ছেলে হারুন শেখকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম জানান, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পরে ভুক্তভোগীর পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা হয়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জেনে ওই এলাকার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। ঘটনায় হারুন শেখের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় এবং তার তথ্য অনুযায়ী ভুক্তভোগী ও তার মাকে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা থানার টিটা থেকে এবং তার বাবাকে ফরিদপুর সদর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।

মঙ্গলবার  ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আরো জানান, হারুন শেখকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে । বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo