• অর্থনীতি

উলিপুরে বেগুন চাষে নাছিরের সাফল্য

  • অর্থনীতি
  • ২৩ মার্চ, ২০২৪ ১৯:৩৭:১৭

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বেগুন চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছেন কৃষক আবু নাছির। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই প্রথম তিনি ৯ শতাংশ জমিতে বারি-১২ জাতের বেগুনের চাষ করেছেন। পোকা দমনে ব্যবহার করছেন সেক্স ফেরোমন ফাঁদ। তিনি প্রতি সপ্তাহে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করছেন। উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে তবকপুর ইউনিয়ন। তবকপুর গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে আবু নাছির এ বছর ৯ শতাংশ জমিতে বারি-১২ জাতের বেগুনের চাষ করেছেন। জমিতে দেখা গেছে, পোকা দমনের জন্য ৮-১০ ফুট পর পর সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। গাছের বেগুন যাতে পাখি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য উপরে জাল টানিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ১০ থেকে ১২টি করে বেগুন। বেগুনগুলো দেখলে মনে হয় লাউয়ের মত একটা করে। প্রতিটি বেগুন ২৫০ গ্রাম থেকে দেড় দুই কেজি উপরে।

আবু নাছির জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ৯ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আসছিলেন। এতে তার তেমন লাভ হতো না। এবারে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও বীজ সহায়তায় ৯ শতাংশ জমিতে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বারি-১২ বেগুনের চাষ করেছেন। বেগুন চাষ করে এত লাভ হবে, ভাবেননি তিনি। বেগুন চাষ করতে তাঁর ৫ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করছেন তিনি। পাইকারি দরে প্রতি কেজি বেগুনের দাম পাচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এ বছর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।

আবু নাছির আরো বলেন, তাঁর বাবা নজির হোসেন একজন কৃষক। তাই তিনি কৃষকের সন্তান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন।

ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, এই বেগুন নতুন একটা জাত। কৃষককে শুধু পরামর্শ ও ২০ গ্ৰাম বীজ সহায়তা করা হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে বেগুন আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে এক একর ৬৫ শতাংশ জমিতে বারি-১২ বেগুন আবাদ করেছে ৫ জন কৃষক।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo