• বিশেষ প্রতিবেদন

মহিদুলের হাতের জাদুতে বাঁশ থেকে তৈরী হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৬ মে, ২০২৪ ১৫:৫৬:৩৮

ছবিঃ সিএনআই

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ মহিদুল ইসলাম গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা।ছাত্রজীবন থেকেই বাঁশ দিয়ে টুকটাক জিনিস পত্র তৈরী করতে আগ্রহী ছিলেন।পরর্বতীতে সেই আগ্রহ আর ইচ্ছা শক্তি দিয়ে হয়ে উঠেন একজন সফল উদ্যোক্তা।বর্তমানে বাঁশ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী তৈরি করে এলাকায় রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা ।তার তৈরি শৌখিন জিনিস পত্র  হোটেল, রিসোর্ট, বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে ঘর সাজাতে শৌখিনপ্রেমীদের মধ্যে মহিদুলের হস্তশিল্পের কদর রয়েছে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বামনডাঙ্গা  ইউনিয়নের রামধন গ্রামে বাসিন্দার।তার নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প কর্নার নামে একটি হস্তশিল্পের ঘর।সেখানে তিনি নিজেই শিল্পকর্মের কারিগর হিসেবে কাজ করেন।

সেই ঘরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে মহিদুলের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় বাঁশের উপর খোদায় করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দৃষ্টিনন্দন ছবি। বাঁশের  তৈরি বিভিন্ন শোপিস ওয়াইন গ্লাস,মগ, কেটলী, উপজাতীয় হুকা,কানের দুল, ফুলদানি, কলম দানি,স্ট্রে সহ বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র। 

স্থানীয়রা বলছেন,দৃঢ়সংকল্প আর ইচ্ছাশক্তির মধ্য দিয়ে নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করেছেন মহিদুল ইসলাম।তার এই শিল্প থেকে দারিদ্রতা বিমোচন করে সফলতার মুখ দেখছেন তিনি।

মো মহিদুল ইসলাম বলেন, বাবার কাছ থেকে শেখা এই শিল্পকে আরও বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নিতে চান।সেই সঙ্গে লোকবল ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বাঁশ শিল্পকে আরও সম্প্রসারিত করতে চান।এজন্য প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা। 

গাইবান্ধা বিসিক এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবীন চন্দ্র রায় বলেন, তরুণ এই উদ্যোক্তাকে বাঁশের কাজে আরও উন্নতমানের প্রশিক্ষণের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তার বাঁশের শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আর্থিকভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি তার তৈরি শৌখিন পণ্য গুলো বাজার করার ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo